মৌসুমি ফুলের রঙ ও গন্ধ: প্রজপতি এবং মথ নয় অন্ধ

Category: Science & Environment | Tags: No tags

Author: Jatish Chandra Biswas | Published on: October 2, 2025, 11:28 p.m.


ও প্রজাপতি তুমি কোথায় পেলে এমন রঙিন পাখা! কত ছুটেছি ওদের পিছনে- ধরতে পারিনি। আপনারা কেউ পেরেছেন কী? ওরা এক ফুল থেকে আরেক ফলে ঘুরে বেড়ায়- আহা কি মজা! আসলে কি শুধু মজা! না কি ওরা আমাদের উপকার করছে।

প্রকৃতি তার রঙিন খেলার মাধ্যমে ফুলের মাধ্যমে জীবজন্তু ও মানুষের মনকে আকর্ষণ করে। উজ্জ্বল রঙের ফুল যেমন লাল, হলুদ, নীল প্রজাপতি ও মথের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে সাদা ফুল মথের জন্য প্রিয় বা দরকারি। 

ফুলের গন্ধে, পাপড়ির বর্ণের ছটায় তারা ফুলের কাছে আসতে প্রলুব্ধ হয়। মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের ফুল ফোটে। তাই তাদের এই রঙের ছটা ও সুগন্ধ মিলিয়ে এক সৌন্দর্য্য ও প্রকৃতির মহাকাব্য সৃষ্টি হয়। এটি জীববৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

ফুলের রঙের বৈচিত্র্য ও তার প্রভাব

প্রকৃতির এই সৌন্দর্য্যপূর্ণ উপহার হলো ফুলের রঙের অসংখ্য বৈচিত্র্য। লাল, হলুদ, নীল, সাদা, গোলাপী ও বেগুনি—প্রতিটি রঙের নিজস্ব অর্থ ও অনুভূতি রয়েছে। এই রঙের মাধ্যমে ফুলের দৃষ্টিনন্দনতা বেড়ে যায়, যা জীবজন্তু ও মানুষের মনকে আকর্ষণ করে।

প্রজাপতি এবং মথ উজ্জ্বল রঙের ফুলের প্রতি আকৃষ্ট হয় কারণ তাদের যৌগিক চোখে মানুষের তুলনায় বেশি অনেক ধরণের কোণ (শঙ্কূ) কোষ আছে যা তাদের দেখার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। অতি বেগুনি রশ্মি তারা দেখতে পায় বলে সহজেই ফুলকে খুঁজে পায় ও মধু আহরণ করে।  

প্রজাপতিরা বেশিরভাগ সময় দিনের বেলায় সক্রিয় থাকে এবং মথরা বেশিরভাগ সময় রাতে সক্রিয় থাকে।  তবে এই নিয়মের অনেক ব্যতিক্রম রয়েছে। কিছু মথ দিনে এবং প্রজাপতি রাতে উড়ে বেড়ায়। যেমন, আমেরিকান মথ প্রজাপতি রাতে সক্রিয়; আবার ডিসফ্যানিয়া পালমিরা মথ দিনে সক্রিয় (চিত্র নং- ১)।

 

ফুলের সুগন্ধ নাকি দুর্ঘন্ধ: তবুও হয় পথচলা

গন্ধের মাধ্যমে ফুলের আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পায়। সুগন্ধি ফুল যেমন জুঁই, চন্দ্রমল্লিকা, কামিনী, গাঁদা ইত্যাদি প্রজাপতি ও মথকে সহজে আকৃষ্ট করে। ফলে পরাগায়ন সংঘটিত হয়। ফুলের সুবাস ও সৌন্দর্যের সমন্বয়ে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি বাড়ে এবং বংশগতি রক্ষা হয়। সুবাসের গুণগত মান নির্ভর করে ফুলের স্বাভাবিকতা ও মৌসুমের বৈশিষ্ট অনুযায়ী।

চিত্র নং- ১: দিনে ও রাতে সক্রিয় প্রজাপতি ও মথ

 

প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে তীব্র সুগন্ধযুক্ত উজ্জ্বল ফুল; যেমন- বাটারফ্লাই বুশ, ল্যাভেন্ডার এবং রোজমেরি। মথ আকৃষ্ট হয় হানিসাকল, জুঁই এবং ইভিনিং প্রিমরোজ এর মতো সুগন্ধযুক্ত  ‍ফুলের। মথ ও প্রজাপতি উভয়েই সুগন্ধে আকৃষ্ট হয়, তবে প্রজাপতি ফুলের রঙকে দৃশ্যমান সংকেত হিসেবেও ব্যবহার করে।

 

কোন ধরনের সুগন্ধী ফুলের দিকে প্রজাপতি বা মথ বেশি আকৃষ্ট হয়?

এক গবেষণায় ২২ ধরনের ফুলের গাছে ২১৭টি রকমের সুগন্ধি যৌগ শনাক্ত করা হয়। যে যৌগগুলি মূলত বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় তা হলো  বেনজেনয়েড ফেনাইলএসিটালডিহাইড এবং ২-ফেনাইলইথানল- মনোটারপিন্স লিনালুল এবং লিনালুল অক্সাইড (ফুরানয়েড) ১ এবং ২ এবং অনিয়মিত টারপিন অক্সোআইসোফোরন।

অর্কিড ফুল আরেকটু বেশি রসিক। তাদের অঙ্গে নানান রূপ (চিত্র নং- ২)। তারা স্ত্রী মৌমাছি বা বোলতার মতো যৌন মিলনে আকৃষ্ট করার মতো ফেরোমোন নিঃসরনের সংকেত দেয়। বোকা বনে যাওয়া পুরুষ মৌমাছি বা বোলতা অর্কিড ফুলের সাথে মিলনের চেষ্টা করে, আর অজান্তেই পরাগরেণু স্থানান্তর করে।

 

চিত্র নং- ২: পোকাকে বোকা বানাতে তিন ধরনের অর্কিড

 

কোন ধরনের দুর্ঘন্ধে আকৃষ্ট হয় পরাগায়নকারি প্রাণী?

উপরের আলোচনায় আমি বলেছি যে, সুগন্ধ ও ফুলের রঙে আকৃষ্ট হয় প্রজাপতি ও মথ। কিন্তু পৃথিবীতে এমন উদ্ভিদ আছে যারা দুর্ঘন্ধ ছড়ায় পরাগায়ন সংগঠিত হওয়ার জন্য। যেমন- ক্যারিয়ন ফুল (চিত্র নং- ৩), যা মৃত পচা দেহের মতো গন্ধ ছড়ায় মাছি এবং ক্যারিয়ন বিটলকে আকর্ষণ করার জন্য।

চিত্র নং- ৩: ক্যারিয়ন ফুল, যা পচা দুর্ঘন্ধ ছড়ায়

 

কোন কোন উদ্ভিদ আহত প্রাণীর রক্তের বা পচনের গন্ধ ছড়ায় পরাগায়নকারি প্রাণীকে আকৃষ্ট করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, ভিনসেটোক্সিকাম নাকাইয়ানাম (Vincetoxicum nakaianum) উদ্ভিদ ক্লেপ্টোপ্যারাসাইটিক মাছিকে আকৃষ্ট করার জন্য আহত পিঁপড়ার গন্ধ ছড়ায়

মৃতদেহের মতো ফুলের গন্ধে মূলত অলিগোসালফাইড ডাইমিথাইলডাইসালফাইড এবং নাইট্রোজেন-বহনকারী যৌগ ২, ৫-ডাইমিথাইলপাইরাজিন থাকে। এই যৌগগুলি একসাথে পচনশীল পোকামাকড় থেকে নির্গত হয় বলে জানা যায়।

 

মৌসুম অনুযায়ী ফুল ফোটা ও তার প্রভাব

একেক মৌসুমে একেক ধলনের ফুল ফোটে; আর প্রকৃতির রূপ বদলায়। বসন্তের গোলাপ, জবা, গাঁদা, কৃষ্ণচূড়া, ইত্যাদি ফুলের রঙ জীবজন্তু ও মানুষের মনকে মোহিত করে। গ্রীষ্মের শুরুতে ফুটে ওঠে অন্য ধরনের গ্রীষ্মকালীন ফুল। বর্ষায় শাপলা, কদম নিয়ে আসে অন্যরকম রূপ।

ঋতুর পরিবর্তন ফুলের বৈশিষ্ট্য, পরাগরেণুর কার্যকলাপ এবং পরিবেশগত পটভূমি পরিবর্তনের মাধ্যমে পরাগায়নকে প্রভাবিত করে। ফুল ফোটার হার, আকার এবং পরাগ/ডিম্বাণু উৎপাদন প্রায়শই বসন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। তবে ঠান্ডা ঋতুতে ফুলের স্থায়িত্ব ও গর্ভমুন্ড সক্রিয় থাকা বৃদ্ধি পায়।

প্রকৃতির এমন পরিবর্তন পরাগরেণুর প্রাচুর্য, বৈচিত্র্য এবং খাদ্য সংগ্রহকে প্রভাবিত করে। পরাগরেণু পরিষেবা এবং প্রজনন সাফল্যকে প্রভাবিত করে। কারণ ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পটভূমি গাছের পাতার রঙ পরিবর্তিত হয়। ফলে পরাগায়নকারীর ফুল চেনার অনুভূতি প্রভাবিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বর্ষাকালে সবুজ পটভূমি এবং শুষ্ক ঋতুতে হলুদ পটভূমি মৌমাছিদের কাছে ফুলের দৃশ্যমানতাকে পরিবর্তন করতে পারে।

শীতকালে দেশি-বিদেশি নানান রকমের ফুলে ভরে উঠে বাগান। মৌসুমের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফুলের রঙ, গন্ধ ও আকারে পরিবর্তন আসে। পরিবর্তন আসে পরাগায়নকারি পোকামাকড়ের। ফলে প্রকৃতি তার নিজস্ব সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়।  

 

পরাগায়নের প্রক্রিয়া: ফুলের সৌন্দর্য ও ফলনের রহস্য

পরাগায়ন হল ফুলের পুরুষ অংশ (পরাগধানি) থেকে স্ত্রী অংশে (গর্ভমুন্ড) পরাগরেণু স্থানান্তরের একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া (চিত্র নং- ৪। এই প্রক্রিয় উদ্ভিদকে বীজ উৎপাদন এবং বংশবৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই স্থানান্তর বিভিন্ন বাহক যেমন বাতাস, জল, অথবা প্রাণী, যেমন- পোকামাকড়, পাখি এবং বাদুড়ের মাধ্যমে ঘটতে পারে।

চিত্র নং- ৪: মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ন প্রক্রিয়া

 

পরাগায়নের প্রভাব

সঠিক পরাগায়নের ফলে ফলের গুণগত মান ও পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলন কম হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, অথচ পর্যাপ্ত পরাগায়ন ফলের মানোন্নয়ন করে। এই কারণে কৃষকরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ফুলের পরাগায়ন নিশ্চিত করে থাকেন।  

গুণগত মান

ফুলের সঠিক যত্ন ও পরাগায়নের মাধ্যমে ফলের গুণগত মান উন্নত হয়। পরাগায়ন ফলে চিনির পরিমাণ এবং ভিটামিন-সি বৃদ্ধি পায়। একই সাথে অম্লত্ব হ্রাস করতে পারে; যার কারণে ফলের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ উন্নত হয়।

সুষ্ঠ পরাগায়ন হলে ফলের বিকৃতি হ্রাস পায়। অর্থাৎ আকার অকৃতিতে দেখতে সুন্দর লাগে। আর সুন্দর জিনিসের বাজার মূল্যও বেশি। পরাগায়নের ফলে কোন কোন ফলের যেমন স্ট্রবেরির গঠন শক্ত হয়, লালচেভাব বৃদ্ধি পায় এবং ঘরে বিশ দিন রাখা যায় বলে অপচয় কম হয়।

ফলন বৃদ্ধি

প্রাণীজ পরাগায়ন, বিশেষ করে মৌমাছি থেকে, স্ব-পরাগায়নের তুলনায় ফলের আকার এবং ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে। উদহরনস্বরূপ, মৌমাছির পরাগায়নের ফলে তৈল জাতীয় পিওনি ফলের পতিটির ফলন ৫৬.২৮% বৃদ্ধি করেছিল।

মৌমাছি দ্বার পরাগায়িত আপেলের বিকাশের হার এবং গুণমান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। কুমড়া জাতীয় ফল হওয়ার জন্য পরাগায়ন অত্যাবশ্য। মিষ্টি কুমড়ো, লাউ, ইত্যাদি ফসলে পর্যাপ্ত পরাগায়ন ছাড়া ক্ষুদ্র ফল হলুদ বা বাদামী হয়ে যাবে এবং লতা থেকে পড়ে যাবে।

 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন: ফুলের গুরুত্ব

ফুলচাষ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন ফুলের চাহিদা দেশের মধ্যে ও আন্তর্জাতিক বাজারে রয়েছে। ফুলের ব্যবসা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।  

ফুলের সৌন্দর্য ও পরিবেশের যত্ন

ফুলের সৌন্দর্য পরিবেশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে। শহর, পার্ক ও রাস্তাঘাটে ফুলের বাগান পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর করে তোলে। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।  

ফুলের চাষে টেকসই উন্নয়ন

সঠিক পরিকল্পনা ও পরিচর্যার মাধ্যমে টেকসই ফুলচাষ সম্ভব। পরিবেশের ক্ষতি না করে, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে ফুলের চাষ করা যায়। এই উপায়ে কৃষি ও পরিবেশের উন্নয়ন সম্ভব।  

 

FAQs

ফুলের বিভিন্ন রঙ কিভাবে প্রজাপতি ও মথকে আকর্ষণ করে?

রঙের বৈচিত্র্য প্রজাপতি ও মথের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা তাদের তাদের খাদ্য ও পরাগায়নে সহায়তা করে। বিশেষ করে উজ্জ্বল ও উজ্জ্বল রঙের ফুল এই জীবজন্তুগুলোর জন্য বেশি আকর্ষণীয়।

 

ফুলের গন্ধ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

গন্ধ ফুলের আর্কষণ বাড়ায়, যা প্রজাপতি ও মথের মনোযোগ আকর্ষণ করে। সুগন্ধি ফুলের গন্ধ পরাগায়নে সহায়ক, ফলে ফলনের উন্নতি হয়।

 

প্রজাপতি ও মথের জন্য কোন ধরনের ফুল সবচেয়ে উপযোগী?

উজ্জ্বল রঙের, সুগন্ধি ও nectar-rich ফুল তাদের জন্য উপযুক্ত। যেমন জুঁই, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ইত্যাদি।

 

ফুলের মৌসুম অনুযায়ী তার প্রস্ফুটন কিভাবে পরিবর্তিত হয়?

মৌসুম অনুযায়ী ফুলের রঙ, গন্ধ ও আকার পরিবর্তিত হয়। বসন্তে নতুন ফুলের প্রস্ফুটন ঘটে, যা জীববৈচিত্র্য বাড়ায়।

 

পরাগায়নের গুরুত্ব কী?

পরাগায়ন ফলের উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে সহায়ক। এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে এবং কৃষি উৎপাদনে অবদান রাখে।

 

ফুলের যত্ন কিভাবে ফলন ও গুণগত মান উন্নত করে?

নিয়মিত পানি, সার ও সঠিক সময়ে পরিচর্যা ফলন ও মান উন্নত করে। ফুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে পরাগায়ন ও ফলন ভালো হয়।

 

ফুলের রং ও গন্ধের মাধ্যমে জীবজন্তুরা কীভাবে আকৃষ্ট হয়?

রঙ ও গন্ধের মাধ্যমে জীবজন্তুদের মনোযোগ আকর্ষণ করে, যাতে তারা ফুলে বসে পরাগায়নে সহায়তা করে।

 

ফুলের চাষে কী ধরনের পরিবেশ প্রয়োজন?

উজ্জ্বল সূর্যালোক, উপযুক্ত জলসেচন, পুষ্টিকর মাটি ও সঠিক তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়।

 

ফুলের মাধ্যমে কীভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায়?

সময়মতো পরিচর্যা, পরাগায়নে সহায়তা ও সঠিক পরিবেশের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি সম্ভব।

 

প্রাকৃতিকভাবে ফুলের যত্ন নেওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?

পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এই যত্ন অপরিহার্য। এছাড়া, প্রাকৃতিক উপায়ে ফলনের মান উন্নত হয়।

 

উপসংহার

ফুলের রঙ, গন্ধ ও মৌসুমের এই সমন্বয় প্রকৃতির অপূর্ব রঙিন খেলা, যা জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। এই বৈচিত্র্য আমাদের প্রকৃতির অমোঘ সৌন্দর্য্য উপভোগের সুযোগ দেয়।  

প্রজাপতি ও মথের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে পরাগায়ন সহজ ও কার্যকর। ফুলের যত্ন ও পরিকল্পিত পরিচর্যার মাধ্যমে ফলের গুণগত মান ও ফলন বৃদ্ধি সম্ভব, যা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক।  

ফুলের চাষ ও ব্যবস্থাপনা অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম। এই শিল্পকে সমর্থন ও উন্নত করে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি সম্ভব।