বাবা-মার ইচ্ছার উপর ছেল বা মেয়ে হওয়া নির্ভর করে না। নানান রকমের বিষয় এর সাথে জড়িত। যেমন, বাবা-মায়ের বয়স, খাদ্যাভাস, জীনগত বৈশিষ্ট, জীবনাচরন, ইত্যাদি। আমি ক্রমান্বয়ে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোন পরিবারে একই লিঙ্গের একাধিক সন্তান থাকলে সেই পরিবারে একই লিঙ্গের আরেকটি সন্তান জন্ম নেওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে (চিত্র নং-১)। ।
ছেলে বা মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
গবেষকগণ দেখেছেন যে, কোন বংশে ছেলে বা মেয়ে হওয়ার ক্ষেত্রে একটি সাধারণ দ্বিপদী বন্টনের পরিবর্তে বেটা-দ্বিপদী নিয়ম অনুসরণ করে। অর্থৎ প্রতিটি পরিবারে পুরুষ বা মহিলা শিশু জন্মের একটি অনন্য সম্ভবনা থাকতে পারে। ঠিক যেন ক্রিকেট খেলার আগে মুদ্রা টসের মতো- মাথা নাকি অন্য পাশ!
চিত্র নং- ১: কোন পরিবারে ছেলে বা মেয়ে হবে তার সম্ভাব্য অবস্থান
নেচার জার্নালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, যে সকল পরিবারে তিন ছেলে আছে তাদের পরিবারে নতুন শিশু ছেলে হিসেবে জন্মানোর সম্ভবনা শতকরা ৬১ ভাগ। আর যে সকল পরিবারে তিনটি মেয়ে আছে তাদের পরবর্তী সন্তান মেয়ে হওয়ার সম্ভবনা শতকরা ৫৮ ভাগ।
এই গবেষণার ফলাফল শিশুর লিঙ্গ সম্পর্কে মানুষের প্রচলিত ধারনাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অর্থাৎ প্রতিটি গর্ভাবস্থায় ছেলে বা মেয়ে হওয়ার সম্ভবনা সমান সমান এটা সঠিক নয়। বর্তমান গবেষণার ফল বলছে যে, ইতিমধ্যে জন্মানো সন্তানের তুলনায় ভিন্ন লিঙ্গের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা আসলে ৫০:৫০ এর কম।
পারিবারিক পরিবেশ কী শিশুর লিঙ্গ নির্ধারনকে প্রভাবিত করে?
ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে অবস্থিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগন ১৯৫৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮,০০৭ জন মহিলা নার্সের গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুদের বেলায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেবল ছেলে এবং অন্যদের বেলায় কেন শুধুমাত্র মেয়ে হলো তার ব্যাখ্যা দেয়া চেষ্টা করেছেন।
তারা দেখেছেন যে দুই সন্তানের পরিবারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে থাকার সম্ভবনা দুটি ছেলে বা দুটি মেয়ে নিয়ে গঠিত পরিবারের তুলনায় বেশি। তবে যে পরিবারে তিন বা ততোধিক শিশু রয়েছে সেখানে নতুন বাচ্চার জন্ম হলে আগে জন্মানো ভাই বা বোনদের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভবনা বেশি।
কাজেই যে পরিবারে শুধু মেয়ে আছে তাদের বাবা-মায়ের উচিৎ হবে না ছেলে চেয়ে সংসার বড় করা। অনুরুপভাবে শুধু ছেলে থাকলে মেয়ের আশায় সংসার বড় করলে মেয়ে নাও জন্মাতে পারে।
বাবা বা মায়ের বয়স ও শিশুর লিঙ্গ
গবেষকগন দেখেছেন যে, ২৯ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলারা যখন তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দেন তখন শুধুমাত্র ছেলে বা শুধুমাত্র মেয়ে জন্মানোর সম্ভবনা ২৩ বছরের কম বয়সী মহিলাদের তুলনায় শতকরা প্রায় ১৩ ভাগ বেশি। তবে জিনগত বৈশিষ্টকে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে X ও Y ক্রোমোজোমের বৈশিষ্ট। Y-ক্রোমোজোম দ্রুত দৌঁড়াতে পারে; তবে এরা তাড়াতাড়ি মারাও যায়। কাজেই যখন ডিম্বাণু ফ্যালোপিয়ান টিউব দিয়ে জরায়ুর দিকে যেতে থাকে তখন Y-ক্রোমোজোম ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে (চিত্র নং- ২)। কাজেই বীর্যপাতের আগেই যদি ডিম্বাণু উপস্থিত থাকে তবে ছেলে হবে বলে ধরেই নেয়া হয়।
চিত্র নং- ২: ডিম্বাণুর দিকে ধাবিত ক্রোমোজোম
সাধারণত যে সকল মহিলাদের বেলায় ২৮ দিনে মাসিকের চক্র নিস্পন্ন হয় (চিত্র নং-৩) তাদের বেলায় পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার ১০ থেকে ১৬ দিন আগে ডিম্বাণু ফেলোপিয়ান টিউবে চলে আসে। ২৮ দিনের চক্রের আধিকারি বেশিরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৪তম দিনে ওভোলেশন ঘটে।
চিত্র নং- ৩: যুবতী মেয়েদের মাসিক চক্র
তবে যহেতু মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য বিভিন্ন রকমের হতে পারে, সেক্ষেত্রে নিজেদের মাসিক চক্র নির্দিষ্টভাবে জেনে নিয়ে সন্তান জন্ম দেয়ার পরিকল্পনা করা উত্তম। কিন্তু মুশকিল হলো- আমাদের সংযম কম!
অবশ্য আরেকটি মুশকিলও আছে। যদি Y-ক্রোমোজোম ডিম্বাণু না পায় তবে সে মারা যাবে। কিন্তু বেঁচে থাকবে X-ক্রোমোজোম। Y-ক্রোমোজোম মেয়েদের প্রজনন অঙ্গে বেশিভাগ ক্ষেত্রে ১৬-১৮ ঘন্টা বেঁচে থাকে; আর X-ক্রোমোজোম বেঁচে থাকে ৫দিন পর্যন্ত।
X-ক্রোমোজোম গদাই লস্করিভাবে চলাচল করে এবং ওনারা জন্ম থেকেই Y-ক্রোমোজোমের তুলনায় ভারি (চিত্র নং- ৪)। তবে যেহেতু বেশি দিন বেঁচে থাকে তাই ডিম্বাণুর সাথে নিষিক্তের সুযোগ পেয়ে মেয়ে শিশু জন্মদানে ভূমিকা রাখে।
বাস্তবেও দেখুন- মেয়েদের সাজুগুজো করতে সময় বেশি লাগে এবং পুরুষের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। জন্মের সময় থেকে ধীরে চলার রীতি মেয়েরা সারা জীবন বয়ে বেড়ায়!
কোন কোন গবেষকদের মতে X এবং Y ক্রোমোজোমের আকৃতি ও আকার, গতিশীলতা এবং সাঁতারের ধরণ, শক্তি, বৈদ্যুতিক চার্জ, pH, চাপ প্রতিক্রিয়া এবং অ্যানিউপ্লয়েডির ক্ষেত্রে নগণ্য বা কোনও পার্থক্য নেই বলে মনে করা হয় (আরো জানতে Rahman and Pang, 2020 এর রিভিউ প্রবন্ধ পড়তে পারেন)।
চিত্র নং- ৪: X এবং Y ক্রোমোজোমের আকার ও আকৃতি
যোনির অম্লমাণ কী শিশুর লিঙ্গ নির্ধারনে ভূমিকা রাখে?
মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যোনির অম্লমানের (pH) পরিবর্তন শিশুর লিঙ্গ নির্ধানের ঘটনাটিকে ব্যাখ্যা করতে পারে বলে জ্ঞিানীগন মনে করেন। X ক্রোমোজোম নাকি Y ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সুযোগ পাবে তা নির্ধারন করে যোনির অম্লমান।
ক্ষারীয় পরিবেশ (উচ্চ pH) Y ক্রোমোজোম বহনকারি শুক্রাণু এবং অম্লীয় পরিবেশ X ক্রোমোজোম বহনকারি শুক্রাণুকে ডিম্বাণুর সাথে মিলনে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করা হয় (আরো জানতে পড়ুন, Toxicological Research)।
খাদ্যাভাস বা অন্য উপায়ে যোনির অম্লীয় পরিবেশকে কী পরিবর্তন করা যাবে?
যাবে; তবে সাবধান। বিপদ হতে পারে। মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং দানা শস্য হজমের পরে শরীরে অম্লীয় পরিবেশ তৈরি করে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং ডাল জাতীয় খাবার ক্ষারীয় পরিবেশ তৈরি করে। অর্থাৎ খাদ্যাভাস সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারনে একটা ভূমিকা রাখতে পারে!
তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, শরীর একটি নির্দিষ্ট নিয়মে অম্লীয় মানের ভারসাম্য বজায় রাখে। হজম প্রক্রিয়া সামগ্রিকভাবে রক্তের pH উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করে না। তদুপরি মনে রাখা দরকার যে, সুস্থ্য যোনির অম্লমান ৪ থেকে ৫। বিভিন্ন কারনে তা কম বেশি হতে পারে (আরো জানতে Lin et al. 2012 এবং Miller et al. 2016 এর লেখা প্রবন্ধ দেখুন) এবং নানা রকমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
খাদ্যাভাস ও যেনির অম্লমান এবং অনুজীব
যেসব মহিলারা বেশি প্রাণীজ প্রোটিন, বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত এবং লাল মাংস এবং অ্যালকোহল গ্রহণ করেন, তাদের যোনিতে অস্বাস্থ্যকর জীবাণুর সংখ্যা বেড়ে যায়। পক্ষান্তরে যে সকল মহিলারা α-লিনোলেনিক অ্যাসিড সম্মৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সম্মৃদ্ধ বীজ (যেমন আখরোট, চিয়া) বেশি গ্রহণ করেন, তাদের যোনির প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা মজবুত।
যখন যোনির অম্লমাণ স্বাভাবিক সীমার উপরে উঠে যায় তখন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা ইস্ট বৃদ্ধি পেতে পারে। এই পরিবর্তনের ফলে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস (BV), ইস্ট সংক্রমণ, মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) হতে পারে এবং যৌনবাহিত সংক্রমণ (STI) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। ভারসাম্যহীন অম্লমাণ অস্বস্তি, দুর্গন্ধ এবং জ্বালার সৃষ্টি করতে পারে। ফলে দৈনন্দিন জীবন-যাপন এবং যৌন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার সুষম মাইক্রোবায়োম এবং স্থিতিশীল অম্লমাণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের লিঙ্গ নির্ধারনে জিনগত প্রভাব
জিনোমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, কোন কোন মহিলার দুটি সাধারণ জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টস এর মধ্যে মাত্র একটি উপস্থিত থাকে যা সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারনে ভূমিকা রাখছে। উদারনস্বরূপ, ১০ নম্বর ক্রোমোজোমের NSUN6 নামক জিনের পরিবর্তনের সাথে কেবল মেয়ে সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা বেশি। পক্ষান্তরে ১৮ নম্বর ক্রোমোজোমের TSHZ1 নামক জিনের একক ডিএনএ অক্ষরে পরিবর্তনের সাথে শুধু মাত্র ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তবে এই গবেষণায় পুরুষ সঙ্গীর প্রভাবের দিকে নজর দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞানী পলিয়াকভ বলেছেন যে, আজ এই ধরণের গবেষণার পুনরাবৃত্তি করা এবং পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন; কারণ অনেক দেশের পরিবারে সন্তান জন্মদানের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্রী এবং গবেষণার সহ-লেখক সিওয়েন ওয়াং (Siwen Wang) বলেছেন যে, মাতৃত্বকালীন কারণগুলির প্রভাব- যেমন গর্ভবতী হওয়ার বয়স শিশুদের লিঙ্গ নির্ধানে ব্যাখ্যার জন্য আরোও কাজ করা দরকার। এটি হতে পারে যে, মহিলাদের বয়সের সাথে সাথে হরমোনের পরিবর্তনগুলি কী ধরনের ভূমিকা পালন করে; অথবা একজন মহিলার বয়স "পিতৃত্বের বয়সের একটি প্রক্সি হতে পারে কিনা। এ সকল তথ্য এখনো হাতের কাছে নেই।
FAQs
কখন মেয়ে বা পুরুষ শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি?
শিশুর লিঙ্গ মূলত নির্ভর করে জিনগত কারণের উপর। যেহেতু পুরুষের শুক্রাণু Y বা X ক্রোমোজোম বহন করে, তাই নিষিক্তকারি ক্রোমোজোমের উপর নির্ভর করে শিশু ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে।
কিছু পরিবার বা সমাজে নির্দিষ্ট লিঙ্গের শিশুর জন্য বেশি আকাঙ্ক্ষা দেখা যায় কেন?
এটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণের ফল। কিছু সমাজে পুরুষ বা মেয়ের জন্য আলাদা মূল্যায়ন বা প্রত্যাশা থাকে বলে এমন হয়ে থাকে।
শিশুর লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য কি কোনও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আছে?
এখনও পর্যন্ত লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য বৈজ্ঞানিক কোনও পদ্ধতি নেই; তবে কিছু চিকিৎসা ও হরমোন থেরাপি থাকলেও সেগুলি মূলত লিঙ্গ পরিচয় পরিবর্তনের জন্য নয়।
শিশু মায়ের পেটে থাকার সময় লিঙ্গের পার্থক্য কীভাবে বোঝা যায়?
সাধারণত অঙ্গ নির্ণয়ের মাধ্যমে বা আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ জানা যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তা নির্ভুল নাও হতে পারে।
লিঙ্গ বৈচিত্র্য বা ট্রান্সজেন্ডার শিশুর সংখ্যা কী বেশি হচ্ছে?
হ্যাঁ, আধুনিক সমাজে লিঙ্গ বৈচিত্র্য বা ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টি স্বীকৃতি পাওয়ায় এই সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এটি মূলত সমাজের মানসিকতা ও স্বীকৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফল।
শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণে জেনেটিক পরিবর্তন বা প্রযুক্তি কী ভবিষ্যতে সম্ভব হবে?
গবেষণার মাধ্যমে কিছু প্রযুক্তি উদীয়মান হলেও এখনো এটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিকভাবে নিশ্চিত বা কার্যকর নয়। ভবিষ্যতে এই দিকটি আরও উন্নত হতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য সবচেয়ে কার্যকর কৌশল বা উপায় কী?
প্রাকৃতিকভাবে লিঙ্গ নির্ধারণের কোন নিশ্চিত কৌশল এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে কিছু পুরাতন কৌশল রয়েছে। যেমন, নির্দিষ্ট সময় বা খাদ্যাভাস মেনে চলা। তবে এগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও অপ্রতুল।
সব মহিলাই মেয়ে মানুষ, তবে সব পরুষই পুরুষ নয় কেন?
মেয়েদের বেলায় XX ক্রোমোজোম থাকে, তাই তারা ১০০ ভাগ মেয়ে। পক্ষান্তরে ছেলেদের থাকে XY, তাই তারা শতভাগ পুরুষ নয়!
সারাংশ
সাধারনত পুরুষ ও মহিলার যৌন মিলনে সন্তানের জন্ম হয়। তবে তাদের ইচ্ছার উপর ছেল বা মেয়ে হওয়া নির্ভর করে না। এটি অনেক জটিল প্রক্রিয়ার ফল। জৈবিক প্রক্রিয়ায় শিশুদের লিঙ্গ নির্ধারিত হয় শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর সম্মিলনের মাধ্যমে। মায়েদের বয়স, খাদ্যাভাস ও জীবনাচরণের প্রভাব পড়তে পারে। তবে এটি মূলত জেনেটিক বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি নির্ধারক।
প্রজননে সমস্যায় পড়া দম্পতিদের বেলায় ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) হলো একটি প্রজনন পদ্ধতি যেখানে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলন ঘটানো হয় দেহের বাইরে। এই প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণু সংগ্রহ করে ল্যাবে শুক্রাণুর সাথে fertillization করা হয়। এরপর নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ে স্থাপন করা হয়। প্রজননে সমস্যায় পড়া দম্পতিদের জন্য এটি একটি আশার আলো।